ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ , ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাউখালীতে দিন দিন ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে


আপডেট সময় : ২০২৫-০৪-২৫ ২১:২৬:০৩
কাউখালীতে দিন দিন ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে কাউখালীতে দিন দিন ডায়রিয়ার রোগী বাড়ছে


 
 
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : পিরোজপুরের কাউখালীতে ডায়রিয়ার প্রাদুভাব দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। 


শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর বারোটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে দেখা গেছে, ১০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর আগে গত ১৫ দিনে প্রায় শতাধিক রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে। উপজেলা অস্থায়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী সামলাতে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন। ডায়রিয়া রোগীর পাশাপাশি অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অস্থায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ২০টি বেড রয়েছে। অনেক সময় এক বেডে একাধিক রোগীদের বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। অনেকে মেঝেতে সিট করে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডায়রিয়ার আলাদা কোন কক্ষ না থাকায় একই কক্ষে ডায়রিয়া রোগী সহ অন্যান্য রোগীদের থাকতে হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা সেবায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। 


কলেরা স্যালাইন, স্যালাইন সেট, আইভি, কেনলা সংকট রয়েছে। রোগীদের অনেক সময় বাহির থেকে ওষুধ ম্যানেজ করতে হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয় কাউখালী এসবি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী সিনথিয়া ভর্তি হয়েছে।


তার মা জানান, গতকাল রাতে ৯০০ টাকার ওষুধ বাহির থেকে ক্রয় করতে হয়েছে। আমার পক্ষে এই ওষুধ কেনা খুবই কষ্টের, কারণ সংসার পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।


ডায়রিয়া আক্রান্ত ভর্তি রোগী শান্তা বেগম ও জাকির হোসেন বলেন, আজকে শুক্রবার ভর্তি হয়েছে। কিছু ওষুধ বাহির থেকে ক্রয় করতে হয়।


এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইশতিয়াক আহমেদ জানান, হঠাৎ করে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে।কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে যোগাযোগ রক্ষা করে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন আনার চেষ্টা করছি। অস্থায়ী ভবনে সিটের সংকট ও ডায়রিয়ার আলাদা কোন কক্ষ না থাকায় আমাদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডাক্তার মাইনুল হোসেনকে নিয়ে  ভর্তিকৃত রোগীদের খোঁজখবর নেন ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।


ডাক্তার মাইনুল হোসেন বলেন, বিশুদ্ধ পানির সংকট, তৈলাক্ত ভাজাপোড়া খাদ্য খাওয়া ও অপরিষ্কার থাকার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। হাসপাতালে ভবন সংকট সহ চিকিৎসক সংকটের মধ্যেও তারা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত কর্মকার জানান।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ